রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫, ১২ই শ্রাবণ ১৪৩২


অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যে ৭ খাবার খাবেন


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫৩

আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৭

ছবি সংগৃহীত

কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল অন্ত্র কেবল হজমে নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং এমনকি ত্বকের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্ত্র ভালো রাখার জন্য মানুষ সাধারণত দই, কেফির কিংবা মাঝে মাঝে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। তবে এগুলা ছাড়াও আরও বেশ কিছু খাবার কাছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

এমনই সাতটি খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

১. ডার্ক চকলেট

ডার্ক চকলেটে (কমপক্ষে ৭০% কোকো) পলিফেনল থাকে যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য জ্বালানির মতো কাজ করে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন (২০২১) এর গবেষণায় দেখা গেছে, কোকো ফ্ল্যাভোনয়েড দুটি গুরুত্বপূর্ণ ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়া— ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়ামের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

২. সামুদ্রিক শৈবাল

জাপানিদের জনপ্রিয় খাবার সামুদ্রিক শৈবাল— নরি, ওয়াকামে এবং কম্বু ফাইবার এবং অনন্য পলিস্যাকারাইড সমৃদ্ধ। মেরিন ড্রাগস (২০২০) এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই তন্তুগুলো চমৎকার প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যের যোগান দেয় এবং এমনকি কম সাধারণ অন্ত্রের জীবাণুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৩. কাঁচা কলা

পাকা কলা সরল শর্করার উৎস হলেও, কাঁচা সবুজ কলা প্রতিরোধী স্টার্চ দিয়ে ভরপুর, এক ধরণের ফাইবার যা হজম প্রতিরোধ করে এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যের যোগান দেয়। দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন (২০১৯) এ প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা কলার প্রতিরোধী স্টার্চ বুটাইরেট উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা কোলন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড।

৪. আর্টিকোক

জেরুজালেম এবং গ্লোব আর্টিকোক ইনুলিনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক উৎসগুলির মধ্যে একটি। এটি একটি শক্তিশালী প্রিবায়োটিক ফাইবার। দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন (২০১৬)-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আর্টিকোক নির্যাস গ্রহণ করলে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিফিডোব্যাকটেরিয়ার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

৫. মিসো

এই গাঁজানো সয়াবিন পেস্ট জাপানি রান্নার একটি প্রধান উপাদান এবং এতে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ প্রচুর। ২০২২ সালে প্রকাশিত ‘ফুডস’ পত্রিকার একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, নিয়মিত মিসো খাওয়া মাইক্রোবায়োটার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করতে পারে এবং অন্ত্রে প্রদাহ কমাতে পারে।

৬. পেস্তা বাদাম

পেস্তা বাদাম ফাইবার এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ। ‘দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন’ (২০১৪)- এ প্রকাশিত একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন পেস্তা খেয়েছেন তাদের মধ্যে উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।

৭. ডালিমের বীজ

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, ডালিমের বীজ (আরিল) অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ইতিবাচকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

‘নিউট্রিয়েন্টস’ পত্রিকার ২০২১ সালের একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডালিমের পলিফেনল প্রদাহ-বিরোধী ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে পারে এবং অন্ত্রের আস্তরণ মেরামতে সহায়তা করে।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top