আশ্বাসে ১০ দিন আন্দোলন স্থগিত করলেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা
 প্রকাশিত: 
 ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৮
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩০
                                প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমেদের আশ্বাসে ১০ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। ১০ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ঘুরে এসে দলের সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা রমনা জোনের ডিসির প্রতি কৃতজ্ঞ। তার উদ্যোগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৬ জনের প্রতিনিধি দল সেখানে যাই। আমাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব সাব্বির আহমদ কথা বলেছেন। সেখানে আমাদের মৌলিক যে ৫টা দাবি, তা নিয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাত যাবেন, সেজন্য আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস তিনি দিয়েছেন এবং নোট আকারে প্রধান উপদেষ্টাকে দেবেন, যাতে তিনি আমিরাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কেনো কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না, তা নিয়ে তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেহেতু তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছে, তাই আমরা আগামী ১০ দিন আমাদের আন্দোলন স্থগিত রাখছি। ১০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে, আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের ৬ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে রমনা জোনের ডিসি আলোচনার জন্য নিয়ে যান। তখন প্রতিনিধি দলে খালেদ সাইফুল্লাহসহ আরও ছিলেন— মীর রাজিব, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন অপূর্ব, নাঈম ও মাইনুদ্দিন।
যাওয়ার আগে মাইনুদ্দিন বলেন, দুবাই থেকে ফেরত আসার পর বারবার আশ্বাস পেলেও আমরা এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তবে রেমিটেন্স বন্ধের মত ঘোষণাও আসতে পারে।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় বাংলামোটর মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দেয়। পরে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এখানেই তারা অবস্থান করেন। পরে রমনা জোনের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাদের সঙ্গে কথা আশ্বস্ত করেন।
তাদের প্রধান ৩টি দাবি ছিল— প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করা; ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: