জুলাই থেকে বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার
 প্রকাশিত: 
 ৩ জুন ২০২৫ ০৯:৫৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৩
 
                                আগামী জুলাই মাস থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সূত্র উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, আগামী জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়ছে। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
এর আগে সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর থেকে কোনো নতুন বেতন কাঠামো না হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।’
তবে বাজেট বক্তৃতায় ‘মহার্ঘ ভাতা’ নিয়ে কিছু উচ্চারণ করেননি অর্থ উপদেষ্টা। জানা গেছে, মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
বাজেট সংক্ষিপ্তসার অনুযায়ী, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ ১৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩০ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তাদের ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৪১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বেতন-ভাতায় মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাড়ছে ১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
২০১৫ সাল থেকে সরকারি কর্মচারীরা নিয়মিতভাবে ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আসছেন। এছাড়া ২০২৩ সালের জুলাই থেকে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে একটি বিশেষ প্রণোদনাও চালু রয়েছে, যা এখনো বহাল রয়েছে। গত অর্থবছরের বাজেটেও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিশেষ সুবিধার কথা বলেছিলেন। পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই বিশেষ ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ১০ শতাংশে উন্নীত করেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে প্রথম সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে সরকারের আর্থিক টানাপড়েনের কারণে সেই আলোচনা বেশি দূর আগায়নি। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বিরোধিতাও আসে।
মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গত ডিসেম্বরে সাত সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই কমিটি প্রায় চার মাস করে একটি সুপারিশ তৈরি করে। মূলত সেই সুপারিশের আলোকেই সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: