মুরাদনগরের ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্বেগ-নিন্দা
প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২৫ ২০:৩৪
আপডেট:
৩০ জুন ২০২৫ ০৩:১৩

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ঘরের ভেতরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’। একইসঙ্গে তারা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) ৬৭ টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীকে (২৫) দরজা ভেঙে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল করা হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও শঙ্কা প্রকাশ করছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি মনে করে, এ ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, সামগ্রিকভাবে নারীর জীবনের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারের ওপর চরম আঘাত। ঘরে অবস্থান করেও নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন, তবে তা রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিক নিরাপত্তার গুরুতর সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়াও একে-অপরের প্রতি দোষারোপ করে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টিকে হালকা করে দেখার মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
সংখ্যালঘু নারী ও কন্যাসহ আমাদের দেশের নারীরা চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়েই চলেছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচার ব্যবস্থাকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি বিশ্বাস করে নারীর নিরাপত্তার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এদেশের প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে নিজের ঘরে, রাস্তায় ও কর্মক্ষেত্রে, সর্বত্র মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতির বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছে এবং ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পাশাপাশি তার চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও মানসিক সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি একই সঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: