দাবি নিয়ে শিক্ষকদের ১২ প্রতিনিধি সচিবালয়ে, বাকিরা সড়কে
প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২৫
আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৬

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সারা দেশ থেকে আসা হাজারও শিক্ষক অবস্থান করছেন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে। তবে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেননি তারা। পদযাত্রার পরিবর্তে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছেন সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরারের সঙ্গে দেখা করতে। বাকি শিক্ষকরা সড়কে অবস্থান করছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সচিবালয়ে যান। এ সময় অবস্থানরত শিক্ষকরা প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে অপেক্ষা করেন। এদিকে শিক্ষকদের পদযাত্রা ঠেকাতে বড় প্রস্তুতি নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।পরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।
জাবেদ আহসান নামে এক শিক্ষক সেখান থেকে বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। এ কারণে আমাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গিয়েছেন। আমরা এখানে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। নিশ্চয়ই শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আমাদের জন্য সুবার্তা নিয়ে আসবেন।
এদিকে শিক্ষকরা সড়কে অবস্থান করায় প্রেসক্লাব এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে লোকজনকে।
এদিকে সকালেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের। তবে আগের সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।
বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ জন্য জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। আর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বাস্তবায়নের কোনও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: