আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সিইসি’র
প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১০
আপডেট:
২২ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৪২

আইনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে আইন অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইউএনওদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই আহ্বান জানান।
সিইসি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। যে জাতি আইনের প্রতি যতটা শ্রদ্ধাশীল, সেই জাতি তত সভ্য বলে আমরা মনে করি। আমাদেরকে এই কালচারটা কাল্টিভেট করতে হবে। আমরা ‘রুল অব ল’ চাই, ‘নট রুল বাই ল’ শাসন করার জন্য বানানো আইন চাই না। নির্বাচনকালীন যে ধরনের কাজের দায়িত্বই পড়ুক না কেন, তা ন্যায়ানুগভাবে, আইনসম্মতভাবে, নিউট্রালি এবং প্রফেশনালি পালন করতে হবে।
উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সিইসি নির্বাচনের সময় সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয়টা একটা বড় জিনিস। আপনারা যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত আছেন এবং সমন্বয়ের দায়িত্বটা মূলত আপনাদের উপরে নির্ভর করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়, আমাদের প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়, পুলিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়... এ সার্বিক সমন্বয়টা আপনাদেরকে খুব সিরিয়াসলি করতে হবে।
চাপমুক্ত থেকে কাজ করার বিষয়ে সিইসি দৃঢ় বার্তা দেন। তিনি বলেন, আপনারাও কোনো প্রেশারের কাছে নত স্বীকার করবেন না, কোনো চাপের কাছে নত স্বীকার করবেন না এবং সম্পূর্ণভাবে নিজের সিদ্ধান্তে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। নির্বাচন কমিশনও কারো কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং কমিশনও কর্মকর্তাদের কোনো অন্যায় আদেশ বা হুকুম দেবে না। প্রচলিত আইন অনুযায়ীই নির্দেশনা যাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
কোনো ক্রাইসিস বা সংকট দেখা দিলে তা শুরুতেই মোকাবিলা করার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সিইসি বলেন, যেকোনো ক্রাইসিস হলে প্লিজ ট্রাই টু অ্যাড্রেস ক্রাইসিস অ্যান্ড মিট ইন দা বার্ড। শুরুতেই যাতে এটা ট্যাকেল করা যায় সেই চেষ্টা আপনারা নেবেন। ঘটনার পর নয়, বরং যথাসময়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব দেন তিনি।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ট্রেনিংটা কিন্তু একদম পুরা ক্যারিয়ারব্যাপী চলে, মানুষের শেখার কিন্তু শেষ নাই। এই প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আরপিও সংশোধনের পর ম্যানুয়াল আপডেট হলে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হবে বলেও জানান সিইসি। এছাড়াও, প্রশিক্ষণে কোনো গ্যাপ থাকলে বা কোনো টপিক বাদ পড়ে গেলে, অনলাইনে কানেক্ট করে সেই গ্যাপ পূরণ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: