বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা
প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২৮
আপডেট:
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২:২৩
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৭ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব চিরঞ্জীবী চাটোট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, আন্তঃসংযোগ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিবহন ভারতের ভূখণ্ড অতিক্রম করবে বিধায় এ বিষয়টি বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন মর্মে সভায় আলোচনা করা হয়।
এ ছাড়া, ভেড়ামারা অংশে বিদ্যমান এইচভিডিসি সিস্টেম ব্যবহার করে আরো ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার ব্যাপারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বেসরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। শীতকালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে কম হওয়ায় এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সঞ্চালন কাঠামো ব্যবহার করে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়েও আলোচনা হয়।
বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বিদ্যুতের বিশেষ আইন বাতিল করেছে। সে মোতাবেক ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িত আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সম্পর্কীয় এলওআই বাতিল করা হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।
এ ছাড়া, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত রুফটপ সোলার প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অভিজ্ঞতা বিষয়েও নেপালের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা হয়। জ্বালানি দক্ষতা ও জ্বালানি অডিট সংক্রান্ত কার্যক্রমে নেপাল সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি আলোচিত হয়।
জেএসসি সভায় বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিপিএমআইয়ের প্রশিক্ষণ সক্ষমতার বিবরণ তুলে ধরা হয়। দ্বিপাক্ষিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ-ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: