বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি

শীর্ষে জনপ্রশাসন, পিছিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়


প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:০৪

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৬

 ছবি : সংগৃহীত

২০২১-২২ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অপরদিকে সবচেয়ে পিছিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগমূহের ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ-তে প্রাপ্ত স্কোর’ প্রকাশ করেছে।

তালিকা অনুযায়ী, ১০০-এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ০৮ নম্বর পেয়ে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এপিএ বাস্তবায়নে শীর্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৭৬ দশমিক ৩২ নম্বর পেয়ে তালিকার একেবারে তলানিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গত দুই অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নের শীর্ষে থাকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবার রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে। গত বছর তালিকায় সবার নিচে (৬৫ দশমিক ৭৬ নম্বর) ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রাপ্ত নম্বরের গড় ৯২ দশমিক ০১ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) যা ছিল ৮৯ দশমিক ০১ শতাংশ।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দফতর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে।

বছর শেষে মূল্যায়ন হয় এই চুক্তির। চুক্তি অনুযায়ী বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে। এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেয়া হয়।

সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনতে সরকার কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি চালু করে। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য (৭০ নম্বর), শুদ্ধাচার পরিকল্পনা (১০ নম্বর), ই-গভর্নেন্স কর্মপরিকল্পনা (১০ নম্বর), জিআরএস কর্মপরিকল্পনা (৪ নম্বর), সিটিজেন চার্টার কর্মপরিকল্পনা (৩ নম্বর), তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা (৩ নম্বর) সূচক রয়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে অধীন দফতর/সংস্থার এপিএ স্বাক্ষর শুরু হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের অফিস এপিএ’র আওতায় আনা হয়। সব শেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসে এপিএ সম্প্রসারিত হয়।

সেরা ১০-এ আছে যেসব মন্ত্রণালয়-বিভাগ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯৯ দশমিক ০৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অষ্টম অবস্থানে ছিল।

এবার ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় এবং ৯৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

৯৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে অর্থ বিভাগ চতুর্থ, ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পঞ্চম, ৯৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ষষ্ঠ, ৯৭ দশমিক ৩৮ নম্বর পেয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সপ্তম, ৯৭ দশমিক ০৯ নম্বর পেয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অষ্টম, ৯৫ দশমিক ৭১ নম্বর পেয়ে পরিকল্পনা বিভাগ নবম এবং ৯৫ দশমিক ৫২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ দশম হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top