শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


শত প্রাপ্তিতেও যার তৃপ্তি কেবল মানুষের ভালোবাসা

আত্মবিশ্বাসী এক রাষ্ট্রনায়ক


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৮

আপডেট:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৯

 ছবি : সংগৃহীত

হাতের মুঠোয় জীবনবাজি রেখে পথচলাই যার একমাত্র নিয়তি। পুরো জীবনই যার সংগ্রামমুখর। সব হারিয়েও যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের অধ্যায়ে।

প্রথম হাঁটতে শিখেছেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আঙ্গুল ধরে। প্রথমে সেই বাড়িয়ে দেয়া হাত ধরে, পরে জাতির জনকের দেখিয়ে দেয়া পথ ধরে তিনি হাঁটছেন। আজও হাঁটছেন। হাঁটতে হাঁটতে পার করে দিয়েছেন ৭৫টি বছর।

বর্ণাঢ্য সেই সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ । শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক কিংবা সফল রাজনীতিবিদই নন, শেখ হাসিনার মানবিকতায় বেঁচে থাকার নতুন দিশা পেয়েছেন বিপন্ন কোটি মানুষ। শত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে যিনি কাজ করে চলেছেন অনমনীয় নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা নিজেই যেন এক ইতিহাস। শত প্রাপ্তিতেও যার তৃপ্তি কেবল মানুষের ভালোবাসাতেই।

১৯৪৭-এ দেশ ভাগের উত্তাল সময়ে ২৮ সেপ্টেম্বর, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গমাতার কোল আলো করে জন্ম নেন শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর আদরের হাসু।

জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ঢাকাতেই থাকতেন বাবার সঙ্গে। রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠা এ নারী ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত রাজনীতির সঙ্গে। পিতার সংগ্রামমুখর নেতৃত্বের প্রতিটি অধ্যায়ের নীরব সাক্ষী হয়ে যেন পাঠ নিয়েছিলেন নেতৃত্ব আর আত্মোৎসর্গের মহামন্ত্র।

৭৫-এ আকস্মিক এক রাজনৈতিক ঝড় এসে শেখ পরিবারের সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। স্বজনহারা শেখ হাসিনা পড়লেন যেন নতুন এক যুদ্ধের মুখে। বৈরী পৃথিবীতে ৬ বছর যন্ত্রণাদগ্ধ নির্বাসন জীবন থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বিপন্ন সেই সময়ে পিতার ঐশ্বর্যময় রাজনীতির সিঁড়িতে পা রেখে শুরু করেন নতুন অধ্যায়ের।

তিনি ফিরেছিলেন ইতিহাসের চ্যালেঞ্জ নিতে। এসেছিলেন পিতার রক্তের ঋণ পরিশোধে। ক্ষমতার মোহ পেছনে ফেলে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মাত্র ৩৪ বছর বয়স থেকেই টানা ৪ দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব বয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে। ৫০ বছরের বাংলাদেশ যার হাত ধরে এখন সক্ষমতার নতুন পথে পা বাড়িয়েছে বীরদর্পে।

ঘটনাক্রমে বেঁচে যাওয়া, এক মহাকাব্যের ট্র্যাজেডির নায়িকা হতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। অমসৃণ চলার পথে আঘাত এসেছে অসংখ্য বার। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে কাঁটা বিছানো পথ বেয়েই তাঁকে চলতে হয় দিনের পর দিন। এখন পর্যন্ত ২০ বার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র পরাভূত করে দেশের জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছেন জাতির বিকল্পহীন অবলম্বন হয়ে।

বৈশ্বিক সমস্যা থেকে শোষিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও অগ্রণী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেতাদের কাতারে। তার সাথেই জাতি এখন এগিয়ে যাওয়ার শপথ নেয়।

ব্যস্ততম রাষ্ট্রনায়ক হয়েও, জনগণের সুখ-দুঃখ বোঝেন শেখ হাসিনা, বোঝেন তাদের নাড়ির টান; মনের অব্যক্ত কথা। তাই তো, ছিটমহলের নিপীড়িত মানুষকে তিনি বুকে টানেন পরম মমতায়। নিভৃত ঝিকরগাছার প্রতিবন্ধী তামান্নাদেরও হোয়াটসঅ্যাপে উৎসাহ দেন মানবতার বাতিঘর হয়ে।

দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালের ত্রাণকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যেও তিনি খুঁজে খুঁজে হাত বাড়ান অসহায়ের দিকে। শুধু আর্থিক আর অবকাঠামোর উন্নয়নেই দেশকে এগিয়ে নেয়া নয়, ছিন্নমূল মানুষদেরও আশ্রয়ের ঠিকানা গড়ে দিয়ে বিশ্বে অনন্য এক নজির গড়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর আর নিখাঁদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতাসহ, দৃঢ়চেতা মানসিকতা তাকে বিশ্বে শান্তি ও মানবতার নেত্রী বলেই মানেন।

অসীম ধৈর্য দিয়ে নিষ্ঠুর বেদনা পাথর চাপার কষ্ট বয়ে চলেই, মানুষের সমৃদ্ধ জীবন গড়ার প্রত্যাশায় নিজেকে উৎসর্গ করা শেখ হাসিনা বহু বাধার প্রাচীর টপকে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পা রাখলেন ৭৬ বছরে। ঝড়ের খেয়ার মাঝি হয়েই, নন্দিত নেত্রী আজ স্ব-মহিমায় বাংলার কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার আসনে অধিষ্ঠিত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top