বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা: কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২২ ২২:১৬

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০২

ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোন টানাপোড়েন নেই। আমরা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করছি। আমি মনে করি খোলা বাজার অর্থনীতিতে ও মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তবুও আমরা মনিটরিং করছি। খুব জোরালোভাবে এটা তত্ত্বাবধান করছি। আমরা দেখছি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারের।

তিনি বলেন, আমরা সেটা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এ দেশের মানুষ খুব সচেতন। তারা জানে দেশে কোন দুর্ভিক্ষ নাই। খাদ্য শস্যের দাম বাড়ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, একথা আমরা বারবার বলছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বিনামূল্যে খাদ্য দেয়ার। কম মূল্যে খাদ্য দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে কোন খাদ্যের হাহাকার নাই, কোন সমস্যা নাই, কোন দুর্ভিক্ষ নাই। তবে মানুষের কিছু কষ্ট আছে। যারা গরিব মানুষ, নিম্নআয়ের মানুষ, রিক্সা ও ভ্যানওয়ালা তাদের সমস্যা আছে। সেটা যতটা সম্ভব মোকাবেলা করার জন্য আমরা কাজ করছি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় ভিজিএফ দিয়ে, বিনামূল্যে খাদ্য দিয়ে আমরা যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে অনুষ্ঠিত শহর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে কোন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের মৌলিক অধিকার আছে সমাবেশ, মিছিল, যে কোন জাতীয় সমস্যা, সামাজিক কোন সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করার। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট বলা আছে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ সুশৃঙ্খল হতে হবে এবং শান্তি বজায় রাখতে হবে। কোনক্রমেই মানুষের জীবন ও যানমালের ওপর কোন হুমকি সৃষ্টি করা যাবে না। জীবনমানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না।

কিন্তু আমরা দেখছি এই বিএনপি ঠিকই সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। যখন পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, তখন পুলিশ বাধ্য হয় তা নিভৃত্ত করার। পুলিশ তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং মাঝে গুলি পর্যন্ত করে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং করেন, তাতে কেউ বাধা দেবে না।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। তারা ২০১৩ সালে আবার ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনে যাবে না, গাড়িতে আগুন দেবে, বিদ্যুতের লাইন তুলে দেবে, ট্রেনে আগুন দেবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে। আমরা এটা করতে দেব না। এখনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সক্ষম, অনেক সুশৃঙ্খল।

আমাদেরও দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা। জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের। এসময় ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক।
এরপর সন্ধ্যায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top