শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:০৪

আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ২৩:২১

ছবি সংগৃহিত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের একটি কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রেখেছিল। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছিল। এমনকি জেলাখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন পরে একে একে সব করেছিলেন তিনি। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই শেষ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বিজয় অধরা ছিল। ১০ জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, তখন আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণ হলো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আগে জনগণের কাছে যান। পরিবারের কাছে পরে গিয়েছিলেন। তিনি যখনই সুযোগ পেয়েছেন, তখনই এ দেশের মানুষের জন্য কিছু না কিছু করে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি বাবার কাছ থেকে। দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়াই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। যখনই সুযোগ পেয়েছেন বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এই ঘুনে ধরা সমাজ ভেঙে দিয়ে নতুন সমাজ গড়তে। চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আমলে গড়ে তোলা প্রশাসনিক ব্যবস্থা, পাকিস্তানি শাসন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে তৃণমূলের মানুষকে শক্তিশালী করতে। গ্রামের মানুষের কাছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, তাদের অথনৈতিক অধিকার, তাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার পৌঁছে দেওয়া ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি দেশকে গড়ে তুলছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপরে বঙ্গবন্ধুর আমলেই একবার উঠেছিল। এরপর আর কেউ পারেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এভাবে কেউ গড়ে তুলতে পারে সেই নজির আর কোথাও নেই। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তার কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে। তার (বঙ্গবন্ধু) ভরসা ছিল একমাত্র এ দেশের মানুষ। এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন, কিছু তো নেই, দেশ কীভাবে চালাবেন? তিনি বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, সেটা নিয়েই দেশ গড়ে তুলব। সেটা তিনি প্রমাণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে যে সমস্ত দেশ যুদ্ধ করেছে, তাদের যে মিত্র শক্তি সহযোগিতা করেছে, কোনো দেশ থেকে সেই মিত্রশক্তি যায়নি। এখনও বহু দেশে তাদের মিত্রশক্তি রয়ে গেছে। বাংলাদেশ একটা ব্যতিক্রম। ভারতীয় সৈন্যরা তাদের রক্ত দিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন ইন্দিরা গান্ধীকে বললেন আপনার সেনাবাহিনী কবে ফেরত নেবেন? ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, আপনি যখন বলবেন তখনই। ১ বছরের মধ্যে ভারতের সেনাবাহিনী ফেরত গিয়েছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top