দাবি আলাদা, লক্ষ্য এক— চাপে রাখতে ‘ছায়াযুদ্ধে’ বিএনপি-এনসিপি
প্রকাশিত:
২২ মে ২০২৫ ১০:১৫
আপডেট:
২২ মে ২০২৫ ১৫:২৭

সম্প্রতি বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পৃথক কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বেড়েছে। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে দলটি টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, এনসিপি চাইছে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। যদিও দাবিগুলো ভিন্ন, বিশ্লেষকদের মতে, এ দুই দলের অবস্থান কার্যত একে অপরের বিপরীতে—এক ধরনের ‘ছায়াযুদ্ধ’।
রাজনৈতিক মহলের ভাষ্য—ইশরাক ইস্যুতে সফল হলে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে পারবে। এর মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের পথ তৈরির চেষ্টা করছে দলটি। একই সঙ্গে এনসিপির কর্মকাণ্ডেও চাপ তৈরি করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। বিএনপির অনেকে বিশ্বাস করেন, এনসিপি ইচ্ছাকৃতভাবে নানা ইস্যু সামনে এনে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়।
এদিকে ইশরাকের ইস্যু সামনে এলে এনসিপিও পাল্টা কর্মসূচিতে নামে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তোলে। পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে সরাসরি বিক্ষোভ করে ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানায়। এনসিপির নেতারা মনে করছেন, বিএনপি সাংবিধানিক সংস্কার উপেক্ষা করে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের দিকে এগোতে চায়।
সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইশরাক হোসেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী পাল্টা বক্তব্য দেন। তিনি তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তাদের পদত্যাগের হুমকি দেন।
ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শাহবাগ অবরোধ ও উপাচার্য-পদত্যাগের দাবিকে কুয়েটের উপাচার্য অপসারণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের আন্দোলন ও ইশরাক ইস্যু একত্র হয়ে গেছে এবং বিএনপির প্রত্যক্ষ সমর্থন পেয়েছে।
বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি সিলেটে এক বক্তব্যে ইশরাককে দ্রুত মেয়র পদে শপথ করানোর আহ্বান জানান। অন্যথায় বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকিও দেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: