প্রিয়নবী (স.)-এর রাতের আমল: যেসব সুরা না পড়ে তিনি ঘুমাতেন না
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৮
আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৪৬

প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ছিল আল্লাহর ইবাদত ও ধ্যানে পরিপূর্ণ। রাতের বেলা তাঁর নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব ছিল। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি নিয়মিত কিছু সুরা তেলাওয়াত না করে কখনো ঘুমাতেন না। এ লেখায় সেগুলো পরিচিতি ও গুরুত্ব উপস্থাপন করা হলো।
যে ৪ সুরা না পড়ে নবীজি (স.) ঘুমাতেন না
১. সুরা আল-মুলক (তাবারাকাল্লাজি)
২. সুরা আস-সাজদা (আলিফ লাম মিম তানজিলু)
৩. সুরা বনি ইসরাইল
৪. সুরা আল-জুমুআ
হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম মিম তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২) হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সুরা আল-জুমুআ ও বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪০৫)
রাতের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমল
নবীজি (স.) রাতে আরও কিছু সুরা ও দোয়া নিয়মিত পড়তেন:
তিন কুল (সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস): তিনি এগুলো পড়ে দুই হাতে ফুঁক দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলাতেন। (সহিহ বুখারি: ৫০১৭)
মুসাব্বিহাত সুরাগুলো: সুরা আল-হাদিদ, আল-হাশর, আস-সাফ, আল-জুমুআ ও আত-তাগাবুন। (সুনানে তিরমিজি: ২৯২১; তাফসিরে কুরতুবি: ১৭/২৩৫)
সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত: হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি রাতে এ অংশ তেলাওয়াত করতেন। (সহিহ বুখারি: ৯৯২)
আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত: আয়াতুল কুরসি: এটা পড়লে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতা পাঠককে শয়তান থেকে রক্ষা করেন। (সহিহ বুখারি: ৩২৭৫)
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত: ‘যে ব্যক্তি রাতে এ দুআয়াত পড়বে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৪০০৮)
(তাহাজ্জুদ, শয়তান ও বিপদ থেকে সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট)
প্রিয়নবী (স.)-এর রাতের আমলগুলো ছিল ঈমানি শক্তি ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তির উৎস। উল্লিখিত সুরাগুলো তেলাওয়াতের মাধ্যমে তিনি আল্লাহর সাথে যোগাযোগ ও সুরক্ষা লাভ করতেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও তাঁর সুন্নত অনুসারে এ আমলগুলো গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: