ফোনের দাম বাড়তে পারে
 প্রকাশিত: 
 ২২ মে ২০২৫ ১০:৫৭
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৫
                                আগামী অর্থবছরের বাজেট পাস হলে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে বৈশিষ্ট্যভেদে ৫ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। এই হার আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ করে বাড়তে পারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে মোবাইল ফোনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বর্তমানে কোনো মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কোম্পানি যদি নিজেরা কমপক্ষে দুইটি কম্পোনেন্ট বা উপকরণ বানায় এবং বাকি উপকরণ আমদানি করে দেশে সংযোজন করে, তাহলে উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এই হার বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হতে পারে। আবার কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সব উপকরণ আমদানি করে দেশে শুধু সংযোজন করে, তাহলেও এখন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এটি বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
যদিও এনবিআর দাবি করছে, প্রযুক্তি দিন দিন সুলভ হচ্ছে, তাই বাড়তি ভ্যাট দিলেও দামের ওপর প্রভাব নাও পড়তে পারে।
স্মার্টফোনের চাহিদার বড় অংশ দেশে উৎপাদিত হয়। ফলে দেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে।
দেশে এখন ১৭টির মতো প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোন উৎপাদন ও সংযোজন করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ আমদানি ও উৎপাদন বিক্রির ক্ষেত্রে কর কমাতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, দেশে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ৭০ শতাংশ পরিবার। অন্যদিকে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) গত বছরের অক্টোবরে ‘দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে শহরের ৪১ শতাংশ এবং গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পও দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। আগে বিদেশ থেকে আমদানি করে মোবাইল ফোনের চাহিদা মেটানো হলেও বর্তমানে দেশেই বেশ কয়েকটি কোম্পানি স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন তৈরি করছে। এতে করে যেমন আমদানির উপর নির্ভরতা কমছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে বিপুল কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ।
বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন করে তার মধ্যে আছে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন, সিম্ফনি, ফাইভ স্টার, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন, টিএসএস। এছাড়াও বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানিও আছে। এগুলো হলো- স্যামসাং, শাওমি, ভিভো, অপো, অংশীদার: বেনলি ইলেকট্রনিক এন্টারপ্রাইজ এবং ট্রান্সসিয়ন হোল্ডিংস।
এসব কোম্পানি বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করে দেশে সংযোজন করে আসছে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: