মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১


অবৈধ হত্যার শিকার ৪৪ হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ


প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪৪

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৭

 ছবি : সংগৃহীত

গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে ১১ লাখের বেশি সামুদ্রিক কচ্ছপ অবৈধভাবে হত্যা করা হয়েছে । সম্প্রতি অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

গবেষকরা জানিয়েছেন, বিপন্ন বা ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি হিসেবে এদের সুরক্ষায় আইন থাকা সত্ত্বেও গত দশকে বিশ্বের ৬৫টি দেশে প্রতি বছর অন্তত ৪৪ হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ অবৈধ শিকারীদের হাতে মারা গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের সহ-লেখক জেসি সেনকো জানান, সংখ্যাটি অনেক বেশি হলেও প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এতে প্রকৃত দৃশ্য ফুটে উঠছে না। কারণ যেকোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করা কঠিন।

সাধারণত খাবার হিসেবে, ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরিতে, প্রত্নবস্তু, সাজসজ্জা বা গহনা হিসেবে বিক্রির জন্য সামুদ্রিক কচ্ছপ শিকার করা হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, কচ্ছপ শিকার ও পাচার একটি বৈশ্বিক অবৈধ বন্যপ্রাণী বাজারের অংশ। প্রতি বছর সেখানে অন্তত ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের কচ্ছপ বা কচ্ছপ-পণ্য বেচাকেনা হয়।

অবৈধ কচ্ছপ শিকারের মাত্রা বুঝতে গবেষকরা ২০৯টির বেশি বিভিন্ন পিয়ার-রিভিউড জার্নালের নিবন্ধ, মিডিয়া রিপোর্ট, প্রশ্নাবলী এবং সংরক্ষণ সংস্থার প্রতিবেদন পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অন্তত ৪৩ হাজার কচ্ছপ পাচার করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটিও ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়িত বলে মনে করেন জেসি সেনকো।

সম্প্রতি গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মাদাগাস্কার হচ্ছে সামুদ্রিক কচ্ছপ শিকারের হটস্পট। সবচেয়ে বেশি কচ্ছপ পাচার হয় ভিয়েতনাম থেকে এবং চীন-জাপান হলো অবৈধ কচ্ছপ পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার।

জেসি আরও জানান, উচ্চ আয়ের দেশগুলো বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে যতদিন চাইবে, উন্নয়নশীল দেশগুলো ততদিন অবৈধ কচ্ছপ সরবরাহ চালিয়ে যাবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top