বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


আজ সঙ্গীর চোখে চোখ রাখার দিন


প্রকাশিত:
২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:৫৩

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫২

প্রতিকী ছবি

‘কেমন জীবনসঙ্গী প্রত্যাশা করো’— আলাপের ফাঁকে সহকর্মীর সোজাসাপটা প্রশ্ন। কিছুটা অপ্রস্তুত, তবু গুছিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করল নারী সহকর্মী। বলল, ‘বেশি কিছু নয়, আমাকে দেখে যেন মনের অবস্থাটা বুঝতে পারে, এতটুকুই’। আশা ছিল, দ্বিমত আসবে না। কিন্তু কিছুটা ভেবে সহকর্মী বললেন, ‘চাওয়া হিসেবে এটা একটু বেশিই।’ আলাপ শেষেও হিসাবটা মেলানো যাচ্ছিল না—আসলেই কী বেশি!

কিছুটা হেরফের হলেও পাশ্চাত্যে জীবনসঙ্গী বা প্রাচ্যে দাম্পত্য জীবন ঘিরে নারী ও পুরুষের বিশেষ করে নারীর প্রত্যাশা এমনই। দিন গড়াতে দাম্পত্য জীবনে অনেক চাওয়া-পাওয়ারই পারদ ওঠানামা করে। তবে সঙ্গী চোখে চোখ রাখবে, মনের খোঁজ রাখবে—এই প্রত্যাশা কিছুটা কমলেও হারায় না পুরোপুরি। মনের কোণে জেগে থাকে। তা থেকে কখনো কখনো জেগে ওঠে ভীষণ অভিমান।

নিরন্তর ছুটে চলা এই জীবনে অনেক কিছুই চোখ এড়িয়ে যায়। ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। মন থাকে বিক্ষিপ্ত। সঙ্গীর চোখের ভাষা আড়াল হয়ে যায়। সঙ্গীর দিনের বাকি সময়টুকু কীভাবে কাটল, জানারও সুযোগ হয় না। আর দুজনেই কর্মজীবী হলে তো কথাই নেই। ব্যস্ততার চক্রে পড়ে দাম্পত্য সম্পর্কেও ক্লান্তি এসে ভর করে। চোখে চোখ রাখার সময় কোথায়! এ যেন প্রয়োজনে কথা বলা, নিয়ম করে পাশে থাকা।

তাই বলে কী ব্যস্ততা আর যান্ত্রিক জীবনে কিছুই থাকবে না। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সম্পর্ককেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বন্ধনটা শক্ত করতে হয়। চাওয়ার-পাওয়ার হিসাব পাশে রেখে দাম্পত্যের অনুভূতি ধরে রাখতে হয়। সময় করেই সঙ্গীর খোঁজ নিতে হয়।
আজ ২৬ জানুয়ারি। স্পাউস ডে। শুরুটা নাহয় আজ থেকেই হোক। আজ একটু ঘটা করেই সঙ্গীর খোঁজ নিতে পারেন। আয়নায় না দেখে, সঙ্গীর চোখেই নিজেকে দেখতে পারেন। দিনটি যে কেবলই আপনাদের দুজনের। ভালোবাসা দিবসের মতো হলেও দিনটি বিশেষভাবে বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য নিবেদিত।

আমাদের দেশে দিবসটি ঘটা করে উদ্‌যাপন হয় না বটে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তা হয় জাতীয়ভাবে। কোনো কোনো দেশে এই দিনে ছুটি নেওয়ার জন্য কর্মীদের উৎসাহিত করা হয়। জাপানে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয় ‘ন্যাশনাল গুড হাসবেন্ড অ্যান্ড ওয়াইফ ডে’ হিসেবে।

কবে থেকে এই দিবস উদ্‌যাপনের সূচনা, তা সঠিকভাবে জানা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে প্রথম এই দিবস উদ্‌যাপন শুরু হয় গত শতকের মধ্য আশির দশকে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের উৎসাহে। অনেকে ধারণা করেন, সেখান থেকে এই দিবস উদ্‌যাপনের ধারণা চলে আসে সাধারণের পর্যায়ে। আর দিবসটি জনপ্রিয় হয় ২০০০ সালের পর।

দিনটিতে দুঃখ-কষ্ট, ভুল-বোঝাবুঝি মিটিয়ে নতুন করে শুরু করতে পারেন দম্পতিরা। সংসার সাজাতে পারেন লাল-নীল রঙে। পরস্পরকে ছোটখাটো উপহার দিতে পারেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ উপহার হতে পারে সময় দেওয়া। কোথাও একটু ঘুরে আসুন। দিনটি নিজেদের মতো কাটান।

আজকের দিনটাতে মুঠোফোনের ব্যস্ততাটা একটু সরিয়ে রাখতে পারেন। একে অপরের প্রতি অখণ্ড মনোযোগ দিন। জমা হওয়া কথাগুলো বলুন। সঙ্গীর কাছ থেকে যতটুকু মনোযোগ আশা করেন, তার চেয়ে বেশি মনযোগ দিয়ে তার কথা শুনুন। সঙ্গীর মনের খোঁজ নিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top