মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর ২০২৫, ২৯শে আশ্বিন ১৪৩২


ফ্লোটিলার ৩০ নৌযানের মধ্যে মাত্র ৪টি’র তথ্য পাওয়া যাচ্ছে


প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৭

আপডেট:
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৪২

ফাইল ছবি

ইসরায়েলের নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটকের পর বাকি যে ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছিল, সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৪টির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এই নৌযানগুলো হলো শিরিন, সামারটাইম জং, মিকেনো এবং মেরিনেত্তি। বাকি ২৬টি নৌযান কী অবস্থায় আছে, সেগুলো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে না কি ইসরায়েলের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে— সেসব তথ্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ট্র্যাকার সিস্টেম ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শিরিন এবং সামারটাইম জং বহরের নৌযান হলেও সেগুলোতে ত্রাণসামগ্রী ছিল না। এ দু’টি নৌযানে ছিলেন আইনজীবীরা। গত ৩১ আগস্ট গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মিশন শুরু হওয়ার পর আইনী সহায়তার জন্য এই দু’টি নৌকায় আইনজীবীদের রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে ত্রাণবাহী নৌযান মিকেনো এবং মেরিনেত্তি গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল। যাত্রা অব্যাহত থাকলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের মধ্যে গাজার উপকূলে নোঙ্গর ফেলার কথা ছিল নৌযান দু’টির।

কিন্তু বাংলাদেশ সময় ১১ টা ২১ মিনিটের পর থেকে মিকেনো, মেরিনেত্তি, শিরিন এবং সামারটাইম জং-এর কোনো খবর পাচ্ছে না ফ্লোটিলা ট্র্যাকার।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা—এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

বুধবার ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। সেদিন সন্ধ্যার পর গাজা উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় নৌবহরের চারপাশ ঘিরে ধরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বহরের ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম জানা গেছে— স্পেক্টার, অ্যালমা, সাইরাস, হুগা, মালি প্রভৃতি।

আটক নৌযানগুলোতে ছিলেন দুই শতাধিক যাত্রী এবং ক্রু। তাদের সবাইকে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কিন্তু ১৩টি নৌযান আটকের পরও গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাকি ৩০টি নৌযান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top