অবশিষ্ট ১৩ জিম্মিকেও মুক্তি দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪৩
আপডেট:
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০২:২৩

সাত জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অবশিষ্ট ১৩ জনকেও মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে তারা মুক্তি পেয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
মুক্তিপ্রাপ্ত এই ১৩ জিম্মি হলেন এলকানা বাহবোত, অ্যাভিনাতান ওর, ইউসেফ-হাইম ওহানা, ইভায়াতার ডেভিড, রম ব্রাসলাভস্কি, সেগেভ কালফন, নিমরোদ কোহেন, ম্যাক্সিম হেরকিন, এইতান হর্ন, মাতান জাঙ্গাউকের, বার কুপেরশতেইন, ডেভিড কুনিও এবং এরিয়েল কুনিও।
প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া ৭ জিম্মির মতো তাদেরও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের জিম্মায় দেয় হামাস। তারপর রেড ক্রস এই জিম্মিদের ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় প্রায় ১ হাজার হামাস যোদ্ধা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলের ইতিহাসে ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে পরদিন ৮ অক্টোবর থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ভয়াবহ সেই সামরিক অভিযানে ২ বছরে গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
গত দুই বছরে বেশ কয়েকবার এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চলেছে। সেসব চেষ্টার অংশ হিসেবে কয়েক দফা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিও ঘোষণা করে ইসরায়েল। সেসব যুদ্ধবিরতির সময় বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপরও প্রায় ৪০ জন জিম্মি আটক ছিল তাদের হাতে। তবে হামাস আগেই জানিয়েছিল, কাগজে-কলমে ৪০ জন থাকলেও এই জিম্মিদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত আছেন ২০ জন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর আজ সোমবার সকালে ৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি দিলো বাকি ১৩ জনকে। গাজায় এখন আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মি নেই।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: