ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩৯
আপডেট:
১১ জুলাই ২০২৫ ০০:৩৬

ফরিদপুরে শাহ মো. রাজন (২৮) নামে এক যুবককে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেওয়ার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদেরকে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
একই আইনের অন্য একটি ধারায় তাদেরকে সাত বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।
নিহত রাজন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোন্দারদিয়া এলাকার বাসিন্দা শাহ মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মধুখালী উপজেলার কুড়ানিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা মো. আরমান হোসেন, মির্জা মাজহারুল ইসলাম, মো. মামুন সেখ, মো. আছাদ শেখ (পলাতক), এবং একই উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ মৃধা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি মো. হাসান শিকদার ও মো. আশরাফুল শিকদারকে মামলা থেকে অব্যাহিত দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. আছাদ শেখ ছাড়া সব আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাদেরকে পুলিশ পাহারায় ফরিদপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামি মামুন রাজনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত ৯টার দিকে কুড়ানিয়ার চর গ্রামের এক ব্যক্তির বাগানে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রাখেন আসামিরা। পরে মধুমতি নদীর পাড় থেকে রাজনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের তথ্য জানাজানি হয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত রাজনের মা মোছা. জোসনা বেগম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল মধুখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক সুনীল কুমার কর্মকার ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট।
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: