কী খেলে ইনফ্লামেশন দূর হয়?
প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৫ ১৪:২৪
আপডেট:
২৪ মে ২০২৫ ১৮:২০

আপনি কি কখনও ঘুম থেকে উঠে ফুলে ওঠা, কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ক্লান্তি অথবা হঠাৎ অবশ বোধ করেছেন? এটি আপনার শরীরের ইনফ্লামেশনের সংকেত হতে পারে। ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হলো শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহে রূপান্তরিত হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এটি শরীরে ধীরে ধীরে জমা হয় এবং বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে এর কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। যদি দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্লামেশনে ভুগে থাকেন তাহলে জেনে নিন কোন খাবারগুলো খেলে প্রতিকার মিলবে-
১. অ্যালোভেরার নির্যাস
প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি এনজাইমকে বাধা দিয়ে প্রদাহ কমাতে কাজ করে অ্যালোভেরার নির্যাস। প্রদাহ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের আগে ৩০ মিলি পানিতে অ্যালোভেরার নির্যাস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২. পেপারমিন্ট চা
পেপারমিন্টে মেন্থল থাকে, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের আস্তরণকে প্রশমিত করে। এছাড়া এর রয়েছে আরও কিছু উপাকারিতা। প্রতিদিন দুই কাপ পেপারমিন্ট চা পান করলে প্রদাহ অনেকটাই কমে যায়। তাই এই চা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩. ভেজানো কালো কিশমিশ
কয়েক শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কালো কিশমিশ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল থাকার কারণে প্রদাহ কমানো সহজ হয়। ভেজানো কিশমিশ এবং পানি উভয়ই খেতে ভুলবেন না। নিয়মিত এভাবে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন।
৪. আদা
আদায় জিঞ্জেরল থাকে। যা একটি শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। এটি প্রদাহ-বিরোধী এনজাইমগুলোকে শান্ত করে প্রদাহ কমায়। তাই ইনফ্লামেশন দূর করার জন্য নিয়মিত আদা খেতে ভুলবেন না। আদার রস কিংবা কাঁচা আদা টুকরা করে চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। এটি সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
৫. প্রোবায়োটিক
প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে প্রদাহ কমায়। দই, কেফির বা কিমচির মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: