চিয়া বীজ যেভাবে খেলে বেশি সুফল
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:০১
আপডেট:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪০

এক চামচ চিয়া বীজ দূর করে দিতে পারে ত্বকের হাজারও সমস্যা। শুধু তাই নয়; ওজন ঝরাতে যতটা আগ্রহী, ত্বকের যত্নে ততটা আগ্রহী নই। পেশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই বাইরে বেরোলে চড়া রোদে পুড়ে যায় ত্বক। ধুলাবালি আর ময়লাও জমে ত্বকের রোমকূপে।
সপ্তাহ ঘুরলেই, ত্বকের রঙে কালছে ছোপ পড়ে যায়। সেই ঔজ্জ্বল্য আর চাকচিক্য নেই। এই সমস্যায় ম্যাজিক হিসেবে কাজ করে চিয়া বীজ।
চিয়া বীজে কী থাকে?
চিয়া বীজে সাধারণত প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর থাকে। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি ফ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ১০০ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১৬.৫ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন চিয়া বীজ—
চিয়া বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন এর সঙ্গে মধু বা দই মিশিয়ে ভালো করে মুখে ও হাতে মেখে নিন। ত্বকের যেখানে যেখানে রোদে পোড়া দাগ রয়েছে, সেখানে ভালো করে এই মিশ্রণ লাগান।
ভেজানো চিয়া বীজে কলা চটকে নরম করে সেই মিশ্রণও লাগাতে পারেন।
চিয়া বীজের সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে খুব ভালো স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ লাগালে ত্বকের মৃত কোষ, ধুলোময়লা উঠে যাবে।
অ্যালোভেরায় সমস্যা না থাকলে ভেজানো চিয়া বীজের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ কমবে।
চোখের নিচের কালি তুলতেও চিয়া বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ভেজানো চিয়া বীজের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তার পর সেই মিশ্রণ তুলোয় করে দু’চোখের নিচে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। অথবা আইপ্যাড থাকলে তাতে সেই মিশ্রণ নিয়ে চোখ ঢেকেও রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। দেখবেন আরাম লাগবে এবং চোখের নিচের কালিও ধীরে ধীরে উঠে যাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: