গাজীপুর সদর থানার ওসিকে বরখাস্তের ঘোষণা, গ্রেপ্তার ১৬
 প্রকাশিত: 
 ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪২
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০৮
                                গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলামকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ড. নাজমুল করিম খান এ কথা জানান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, আমরা একে একে তাদেরকে খুঁজে বের করব। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই, এখানে যারা পুলিশ আছে, রেসপন্স করতে দেরি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব। আমি শুনেছি দুই ঘণ্টা পরে আমার ওসি আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আমি আপনাদের এই মুহূর্তে বলতে চাই, আমি তাকে সাসপেন্ড করব।
তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করবে, তাদেরকে পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না। এতদিনে যে ফ্যাসিবাদ পুলিশ তৈরি হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ থেকে পুলিশ বের হয়ে আসতে হবে। জনগণের পুলিশ হতে হবে। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন, আপনারা জনগণের নিরাপত্তার জন্য এসেছেন, গত ১৭ বছর যাবৎ আপনাদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছে, এই দেশের ওপর জুলুম করেছে এখন মাথা চাড়া দিচ্ছে, তাদের এই মাথা চাড়া কোনোভাবে বরদাস্ত করা হবে না। আমরা এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আজকে রাতে চিরুনি অভিযান হবে, এই চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে প্রত্যেকটি অপরাধীকে আমরা খুঁজে বের করব এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
নাজমুল করীম খান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমিও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের সময় আমাকে ফোর্স রিটায়ারমেন্ট পাঠানো হয়েছিল। আন্দোলনের পর আমি আবার পুলিশ কমিশনার হয়ে ফিরে এসেছি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হামলার প্রতিবাদে রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে আজ দুপুরে শহরের রাজবাড়ী সড়কে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: