শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


আজানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম


প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৩ ১৮:৩৯

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০০

প্রতিকী ছবি

আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া স্বতন্ত্র্য ইবাদত। আজান শোনে মৌখিকভাবে উত্তর দেওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১১)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসুল! মুয়াজ্জিনদের মর্যাদা যে আমাদের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমিও তা-ই বল, মুয়াজ্জিন যা বলে। তারপর আজান শেষ হলে (আল্লাহর কাছে) চাও। (তখন) যা চাইবে তা-ই দেয়া হবে।’ (আবু দাউদ, মেশকাত)

আজানের উত্তর দেওয়া উচিত হবে না যাদের

তবে বেশ কিছু সময় ও অবস্থায় আজানের জবাব দেওয়া উচিত হবে না। এমন পরিস্থিতিগুলো হলো-

১. আজানের সময় নামাজ পড়ছেন এমন ব্যক্তি।
২. খুতবার সময় : চাই জুমার খুতবা হোক বা বিবাহের খুতবা।
৩. নারীদের হায়েজ ও নেফাস অবস্থায়।
৪. ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন বা শরীয়তের মাসআল-মাসায়েল শিখা বা শিক্ষা দেওয়ার সময়। কিন্তু কোরআন তেলায়াতের সময় আজান হলে তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। (ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়া, ২য় খন্ড)
৫. স্ত্রী সহবাসের সময়।
৬. পেশাব-পায়খান করার সময়।
৭. খাবার খাওয়ার সময়। (আহকামে জিন্দেগী, ১৬৮, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৯৭)

আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম

মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। এটা হলো- আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা এটির পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই ফিকাহবিদদের বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫)

তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতাও অনুরূপ বলতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস : ৪৫৮)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top