মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১


৮ হাজার ফ্ল্যাট ক্রয়, আবেদন জমা ৪ হাজার

মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম: তালিকায় তৃতীয় বাংলাদেশিরা


প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২০ ১৪:১৩

আপডেট:
৫ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাট, বাড়ি কেনার জন্য দেশটির সেকেন্ড হোম প্রকল্পভুক্ত হয়েছেন। এ প্রকল্পে জমা পড়েছে আরও ৪ হাজার বাংলাদেশির আবেদন। সেকেন্ড হোম হিসেবে যেসব বিদেশি নাগরিক মালয়েশিয়াকে বেছে নিচ্ছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান তৃতীয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেকেন্ড হোম কর্মসূচির আওতায় বিদেশিরা স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসাবে দেশটির জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছেন। সেখানে টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করায় অনেক বাংলাদেশি এ সুযোগ নিচ্ছেন। জীবন ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা ছাড়াও মালয়েশিয়ার শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও তাদের সেকেন্ড হোম বানানোর অন্যতম কারণ। বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়া ৮ বছর আগে এ প্রকল্প চালু করে।

বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মালয়েশিয়াকে তাদের সেকেন্ড হোম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আরও ৫০ হাজারের বেশি আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। বাংলাদেশ থেকেও আরও ৪ হাজার আবেদনকারী রয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা সেকেন্ড হোম প্রকল্পভুক্ত হবেন। প্রকল্পভুক্ত ও আবেদনকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে ৯০ শতাংশই ব্যবসায়ী, আমদানি-রফতানিকারক ও শিল্পপতি। বাকিরা সাবেক আমলা, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীর। তবে সেকেন্ড হোমের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বাংলাদেশ থেকে কেউই বৈধ পথে নেননি। বিষয়টি জানে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও। তবু থামছে না এ অর্থ পাচার।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। ওই কমিটিকে বলা হয়, আয়কর না দিয়ে অবৈধভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিদেশে পাচার বা সেকেন্ড হোম নির্মাণ করেছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে। ৩ সদস্যের বিশেষ টিম এ বিষয়ে অনুসন্ধানও চালিয়েছিল। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি মালয়েশিয়ান ভিসাকারীদের তালিকা তৈরির পরই কাজ শুরুর কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে কোনোটাই আলোর মুখ দেখেনি।

জানা গেছে, ৫০ বা তার বেশি বয়সী বিদেশিকে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য দেশটির ব্যাংকে দেড় কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রাখতে হয়। আবেদনকারীর মাসিক আয় হতে হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। পঞ্চাশের নিচের বয়সীদের ফিক্সড ৩ কোটি টাকা ও মাসিক আয় দেখাতে হয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

সূত্র- যুগান্তর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top