সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২


ক্যান্সারের বিস্তার রোধে ব্যথার ওষুধ ‘অ্যাস্পিরিন’


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১০:৫০

আপডেট:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫২

ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ‘অ্যাস্পিরিনকে’ কার্যকর ব্যথানাশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। তবে এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার এবং অন্যান্য কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি দি নেচার পত্রিকায় একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় জীবজন্তুদের ওপরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওষুধটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। অ্যাস্পিরিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে সব মানুষ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দৈনিক অ্যাস্পিরিন সেবন করে থাকেন, তাদের ক্যান্সার ধরা পড়লেও বাঁচার সুযোগ তূলনামূলকভাবে বেশি।

কীভাবে অ্যাস্পিরিন ক্যানসারের বিস্তার রোধ করতে পারে?

অ্যাস্পিরিনের ক্যানসার প্রতিরোধী প্রভাব শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।

স্বাভাবিকভাবে যখন ক্যানসার কোষ মূল টিউমার থেকে আলাদা হয়ে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন টি-সেল নামে এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা এ কোষগুলোর সন্ধান করে এবং ধ্বংস করে। কিন্তু প্লাটিলেট (রক্তে জমাট বাঁধার জন্য দায়ী ছোট কোষীয় কণা) এ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যাস্পিরিন ক্যান্সারের মেটাস্ট্যাসিস (শরীরে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া) রোধ করতে সহায়ক হতে পারে।

ক্যান্সারের মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কারণেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা মারা যান। ক্যান্সারের কোষ মূল টিউমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন টিউমার তৈরি করে।

এ বিচ্ছিন্ন ক্যান্সার কোষগুলো যখন শরীরের অন্যান্য স্থানে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করে, তখন অ্যাস্পিরিন শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তাদের ধ্বংস করতে সাহায্য করতে পারে।

তবে, অত্যধিক অ্যাস্পিরিন ব্যবহারের ফলে স্ট্রোক ছাড়াও শরীরের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যেগুলো অবহেলা করা উচিত নয় বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

যাদের লিচ সিন্ড্রোম রয়েছে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাদের ইতোমধ্যে অ্যাস্পিরিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ডাক্তাররা। কিন্তু আগামী দিনে আর কোন কোন ক্ষেত্রে এটি দেওয়া সম্ভব এখন সেই নিয়েই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top