সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২


জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫ ১৬:৪৫

আপডেট:
২৮ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৩

ছবি সংগৃহীত

সীমান্ত সংঘাতের অবসানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সোমবার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের নেতাদের বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়েছেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, নিজেদের সীমান্ত সংঘাত বন্ধে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা শর্তহীন যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করবে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

মালয়েশিয়ায় মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পর আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‌‌‘‘কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছে। যার প্রথম শর্ত, তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতি। এই যুদ্ধবিরতি সোমবার রাত ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে কার্যকর হবে।’’

বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে যে শর্তহীন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তা দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর সম্পর্কের ‘স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার’ সুযোগ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঘোষণা দেওয়া সমাধানমূলক সব পদক্ষেপ আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তি তৈরি করবে এবং সম্পর্কের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পথ খুলে দেবে।

এর আগে, সোমবার দুপুরের দিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারি বাসভবন সেরি পেরদানায় থাই ও কম্বোডিয়ার নেতাদের গাড়িবহর পৌঁছায়। এই গাড়িবহরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকাবাহী গাড়িও দেখা গেছে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত স্থানীয় সময় সকাল ৭টার পরপরই কুয়ালালামপুরে সাক্ষাৎ করেন। এই দুই নেতার বৈঠকের সময় মালয়েশিয়ার রাজধানীর আকাশে উড়োজাহাজ চক্কর দিতে দেখা যায়। তাদের সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা পর উভয় নেতা ও মধ্যস্থতকারী বিভিন্ন পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান।

বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। একদিন আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার উভয় নেতা দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো নিয়ে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

দুই দেশের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণ, রকেট ও গুলিবিনিময়ের কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গত পাঁচ দিনে দুই লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top