অপারেশন হকিয়ে : সিরিয়ায় ৯ দিনে নিহত ৭, গ্রেপ্তার ১৮ আইএস সদস্য
প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০৯
আপডেট:
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৬
সিরিয়ায় মার্কিন-সিরীয় যৌথ বাহিনীর সামরিক অভিযান ‘অপারেশন হকিয়ে’-এর ৯ দিনে নিহত হয়েছেন ৭ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮ জন আইএস যোদ্ধা। এছাড়া আইএসের কমপক্ষে ৪টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকোম) শাখা গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযানের তথ্য প্রদান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ৯ দিনে মোট ১১ দফা অভিযান চালানো হয়েছে আইএসের বিরুদ্ধে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ২০১৪ সালে উত্থান ঘটে কট্টর ইসলামপন্থি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের। উত্থানের অল্প সময়ের মধ্যেই সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আইএস।
বর্তমানে অবশ্য আইএসের সেই অবস্থা নেই। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং রুশ বাহিনীর অভিযানের সামনে টিকতে না পেরে মোট দখলকৃত ভূখণ্ডের মাত্র এক পঞ্চমাংশ এলাকা বর্তমানে নিজেদের অধীনে রাখতে পেরেছে আইএস। এটুকু অংশও বেশিদিন আইএস নিজেদের দখলে রাখতে পারবে না বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
আইএসের উত্থানের পর এই গোষ্ঠীকে দমনের জন্য সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে আইএসের উত্থানের পর সিরিয়ায় ২ হাজার সেনা পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে সেখানে মার্কিন ঘাঁটিতে ১ হাজার সেনা রয়েছেন।
চলতি ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় একটি মার্কিন-সিরীয় গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালিয়েছিল আইএস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ২ মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী এবং আহত হন আরও ৩ জন।
সেই হামলার বদলা নিতে ২০ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ায় অপারেশন হকিয়ে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযান শুরুর পর এক বিৃবতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছিলেন, “এটা কোনো যুদ্ধের শুরু নয়, বরং এই অভিযান হলো প্রতিশোধমূলক পাল্টা পদক্ষেপ। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: