শনিবার, ১৯শে জুলাই ২০২৫, ৪ঠা শ্রাবণ ১৪৩২


চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাচ্ছেন? জেনে নিন পরিণতি


প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২৫ ১১:০১

আপডেট:
১৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৭

ছবি সংগৃহীত

চায়ের সঙ্গে বিস্কুট বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়াটা অনেকের কাছেই প্রতিদিনের অভ্যাস। তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—এই মিষ্টি যুগল (চা ও বিস্কুট) শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, মস্তিষ্কের আসক্তি-সম্পর্কিত পথ সক্রিয় করে এবং ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমে সমস্যা তৈরি করে।

বিস্কুটে সাধারণত পরিশোধিত ময়দা ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা একে উচ্চ-ক্যালোরির খাদ্যে পরিণত করে। একটি সাধারণ বিস্কুটে প্রায় ৪০ ক্যালোরি থাকে। ক্রিম ভর্তি বা চকলেট-ঢাকা বিস্কুটে প্রতিটি ১০০ থেকে ১৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত থাকতে পারে। সাধারণত একটি বিস্কুটেই তৃপ্তি আসে না, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

অন্যদিকে চা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়।তবে এটি চিনি বা দুধ ছাড়া গ্রহণ করলেই কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফের মতে, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট বা অন্য কোনো মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে গিয়ে পরে হঠাৎ কমে যেতে পারে—যা শক্তি ও মনোভাবের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

গরম চায়ে বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়ার অভ্যাসটি আরামদায়ক মনে হলেও, এতে দ্রুত শর্করার উত্থান ঘটে এবং ইনসুলিনের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শরীর এই শর্করার চাপ সামাল দিতে গিয়ে দ্রুত শক্তি ফুরিয়ে যায় এবং আরও মিষ্টিজাত খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়।

এই চক্রটি বোঝায়- কেন অনেকেই এক সঙ্গে একাধিক বিস্কুট খেয়ে ফেলেন। এমন অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণের ব্যাঘাত এবং অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমজনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা চায়ে দুধ ও চিনি যোগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। চা প্রাকৃতিকভাবে ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস হলেও, এতে চিনি বা দুধ যোগ করলে এটি উচ্চ-ক্যালোরির পানীয় হয়ে যায় এবং রক্তে চিনির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

তবে যারা প্রতিদিন চা ও বিস্কুট খান, তাদের জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি:

·খালি পেটে বা সকালে উঠে সঙ্গে সঙ্গে চা-বিস্কুট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে ইনসুলিনের মাত্রা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেড়ে যেতে পারে। বরং দুপুরের হালকা নাশতার সময় খাওয়াই ভালো।

·সম্ভব হলে বাসায় বানানো বিস্কুট খান, যাতে কম পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত চিনি ও অ্যাডিটিভ থাকে।

·পরিশোধিত ময়দার বদলে সম্পূর্ণ শস্যজাত বা হোল-গ্রেইন বিস্কুট বেছে নিন।

·মিষ্টি বিস্কুট খেলে চায়ে চিনি না দিন। দুধ ব্যবহার করলে ফ্যাট-ফ্রি দুধ ব্যবহার করুন।

পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে চা ও বিস্কুট একসঙ্গে খুব ক্ষতিকর নাও হতে পারে। তবে তাদের সম্মিলিত প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।সূত্র: জিও নিউজ

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top