বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


সাংবাদিক আফতাব হত্যা: ৫ আসামির ফাঁসির রায় বহাল


প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৩৮

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৬

ছবি সংগৃহীত

আলোকচিত্র সাংবাদিক আফতাব আহমেদকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) অনুমোদন করে এবং আসামিদের আপিল খারিজ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- আফতাব আহমেদের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা এবং ডাকাতিতে জড়িত বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, মো. রাসেল।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ওই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি আসামি মো. সবুজ খানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আসামিদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের এ মামলায় শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি।

আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা, এবং দুই পলাতক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

বিচারিক আদালতের রায় হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সামিরা বলেন, ট্রায়াল কোর্ট পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এই রায়ই বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল এ মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নয় বছর আগে ডাকাতি করতে গিয়ে তাকে খুন করেন আসামিরা।

পরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা হলে দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা।

আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা স্থানীয় বৌবাজার এলাকায় গিয়ে এক জায়গাতে এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ওই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠনো হয়। পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ বিষয়ে শুনানি শেষ হলে আজ বুধবারের রায়ে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখলো উচ্চ আদালত।

২০০৬ সালে একুশে পদক পাওয়া আফতাব দীর্ঘদিন ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী হিসাবে কাজ করেন। আফতাব আহমেদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসাবে তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন ১৯৬২ সালে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top