শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


তেলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজির দাম


প্রকাশিত:
৯ আগস্ট ২০২২ ২২:৫৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫৬

 ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সকাল থেকে কারওয়ান বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কমের মধ্যে আছে শুধু পেঁপের দাম। এক কেজি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই সবজি। এছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে অনেক ক্রেতাই কম বাজার নিয়ে বাসায় গেছেন।

অন্যদিকে বিক্রেতারা জানান, কম দামে কিনলে তারাও কম দামে বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতাদের সঙ্গে দামদর করতে হয় কম। কিন্তু দাম বাড়ায় অনেক বেশি দামদর করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, গত তিনদিনে বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে লেবু, পটল ও করলা অন্যতম। লেবুর দাম কয়েকদিন আগেও যেখানে ডজন ছিল ৩০ টাকা, সেখানে আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

বাজারের বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহ আগে লেবুর ডজন ছিল ৩০ টাকা। অথচ এখন ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, আগে বস্তা কেনা হতো ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। আর এখন কিনতে হচ্ছে ২১০০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি কেনা হতো ৮ টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ১২ টাকায়। বাংলাদেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে সাথে সাথে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু দাম কমলে আর কমানো হয় না।

ব্যবসায়ীরা জানান, পটলের দাম আজকে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। আমদানি কম থাকায় ২০ টাকা কেজির পটল সপ্তাহ ঘোরার আগেই ৪০ টাকা হয়ে গেছে। তেলের দাম বাড়ায় সবজির দাম বেড়ে গেছে। অন্য সব সবজির দামও বাড়তি। করলার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। সবজির দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের কষ্ট অনেক বেড়ে গেছে। সবজি কিনতে চালান লাগছে বেশি।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি হাইব্রিড পেয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়, ভারতীয় পেয়াজ ১৮০ টাকায় আর দেশি পেয়াজ ২৪০ টাকায়। অথচ কয়েকদিন আগেও ২২০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ এবং অন্যগুলোও ১০-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। এখন পাল্লায় ১০ থেকে ২০ টাকা এবং কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় আর ভারতীয় ৪০ টাকায়।

আলুর দাম পাইকারি বাজারে কিছুটা কমেছে। ১৩০ টাকা ছিল পাল্লা (৫ কেজি)। ১০ টাকা কমে এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। খুচরা বাজারে দেশি আদা কেজি ১০০ টাকা এবং ভারতীয় ১১০ টাকা; চায়না রসুন ১২০ ও ১৪০ টাকা এবং দেশি রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

এছাড়া দাম বাড়ায় পর কচুর লতি ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ধুন্দল ৪০-৫০ টাকা, কচুমুখী ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top