শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


শিশুর অ্যালার্জি প্রতিকারে করণীয়


প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২২ ০৩:৩৬

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৪

 ছবি : সংগৃহীত

বিশেষ বিশেষ খাদ্য, পতঙ্গদংশন, ফুলের পরাগরেণু ইত্যাদির প্রতি কারো কারো শারীরিক অতি স্পর্শকাতরতা বা অতি সংবেদনশীলতাকে অ্যালার্জি বলে। শরীরে অবস্থিত অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেনের অতি সংবেদনশীলতা বা রি-অ্যাকশনের কারণে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। শিশুদের নানা রকম অ্যালার্জি হতে পার । এসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি।

অ্যালার্জি প্রবণ খাবারঃ-

► দুধ

► ডিম

► মাছ (চিংড়ি, ইলিশ, সামুদ্রিক)

► মাংস (গরু, হাঁস)

► সবজি (বেগুন, কচু, গাজর, আপেল)

► বাদামজাতীয় খাবার (চিনাবাদাম, মটরশুঁটি)

► শামুকজাতীয় খাবার।

ডিমের অ্যালার্জি শিশুদের ০-১ বছরে শুরু হয়। তারপর ৭৫ শতাংশ অ্যালার্জি সাত বছরের মধ্যেই চলে যায়। গরুর দুধের অ্যালার্জি ০-১ বছরে শুরু হয় এবং ৭৬ শতাংশ অ্যালার্জি পাঁচ বছরের মধ্যেই চলে যায়। ডাল বা বাদাম জাতীয় খাবারের অ্যালার্জি ২০ শতাংশ চলে যায়। বাকিটা থাকতে পারে সারা জীবন ।

শিশুর অ্যালার্জি হয় বলে অ্যালার্জিপ্রবণ খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত নয়। কারণ অনেক সময় বিশেষ খাবারে হঠাৎ করেই একবার বা দুইবার অ্যালার্জি হতে পারে ।

অন্যদিকে মায়ের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। কেননা বুকের দুধের মাধ্যমে মায়ের শরীরের অ্যালার্জি বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করার আশঙ্কা খুবই কম।

অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করতে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার। যেমন—কমলা, পেয়ারা, আমলকী, কুল, মাল্টা ইত্যাদি। এগুলো অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষত নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

অ্যালার্জি শনাক্তের টেস্টসমুহঃ-

► রক্তের আইজিই টেস্ট : প্রাথমিকভাবে এই টেস্ট খুব জনপ্রিয়। তা ছাড়া যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে, অতি বৃদ্ধ বা যাদের ত্বকের পরীক্ষায় ভীতি রয়েছে, তাদের এই টেস্ট করানো হয়।

► স্কিন প্রিক টেস্ট : এই পরীক্ষায় শরীরে নির্দিষ্ট অ্যালার্জেন প্রবেশ করিয়ে অ্যালার্জির মাত্রা নির্ণয় করা হয় এবং কোন জিনিসে অ্যালার্জি আছে, তা শনাক্ত করা হয়।

► স্কিন স্ক্রাচিং টেস্ট : এই টেস্ট সব সময় করা হয় না। ত্বকে আঁচড় কেটে সেখানে অ্যালার্জেন ঢেলে এর রি-অ্যাকশন দেখা হয়।

► স্কিন চ্যালেঞ্জ টেস্ট : এই পরীক্ষা সাধারণত ফুড অ্যালার্জির রোগীদের ক্ষেত্রে করা হয়। চিকিৎসকের সামনে নির্দিষ্ট খাদ্য খাইয়ে দেখা হয় অ্যালার্জি হচ্ছে কি না।

► রক্তের ইসোনোফিল টেস্ট : এ ক্ষেত্রে ইসোনোফিলের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।

টেস্ট করালে কোন কোন জিনিসের প্রতি অ্যালার্জি আর কোন কোন জিনিসের প্রতি অ্যালার্জি না, কোন ধরনের খাবার পরিহার করতে হবে, অ্যালার্জেন ভ্যাকসিন লাগবে কি না, সেটি শনাক্ত করা যায়। ফলে চিকিৎসা সহজ হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top