দেখবে শিশু নতুন আলো
প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১০:৩৯
আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫৭

তিন দশকে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে এগিয়েছে। নানা সূচকে আমাদের অগ্রগতি ঘটেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করার পরও আমরা একটি সুস্থ সমাজ পাইনি, সঠিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পাইনি। কোথাও এতটুকু আশাবাদ জেগে ওঠেনি। কয়েক দশকে আমরা আমাদের সব ধরনের প্রতিষ্ঠান নষ্ট করেছি।
আমাদের রাজনীতি নষ্ট হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার মতো মূল ভিতগুলো। কিন্তু এসবের পেছনে লুকিয়ে আছে আমাদের সমন্বিত আত্মঘাতী উদ্যোগ। আমরা আমাদের প্রজন্মকে নষ্ট করেছি। আমরা নতুন এবং অনাগত প্রজন্মের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করেছি।
সমস্যা হলো, এটা আমরা এখনো উপলব্ধি করছি না। বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা অর্থনীতি না, একটি মানবিক প্রজন্ম তৈরি করতে না পারা। এক্ষেত্রে যে আমরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছি সেটা আমরা আমাদের অমিত সম্ভাবনাময়ী এই প্রজন্মের বেহাল দশা দেখে অনুভব করতে পারি। কিন্তু একটি প্রজন্ম তৈরি করা ছাড়া রাষ্ট্রকে দাঁড় করানোর সব প্রকল্প ও উদ্যোগ অকার্যকর হতে বাধ্য।
মানবশক্তিই হলো জাতি পরিচালনার মূল শক্তি। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রধান শক্তিই ছিল এটা। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর দেশে আমরা অন্যান্য শক্তিতে শক্তিমান হয়ে উঠলেও মানবশক্তিতে পিছিয়ে গেছি। মানবশক্তির মূল ভিত হিসেবে আমি চিহ্নিত করতে চাই মানবিক শক্তিকে। একটি সমাজ কেন সবদিকে ধসে পড়ছে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে কেন একটি অন্তঃসারশূন্য কাঠামো বলে মনে হচ্ছে, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা জরুরি।
যে সংকটটি সামনে আসবে সেটি হলো, আমরা মানুষ তৈরির বদলে ভবন-ব্রিজ-রাস্তাঘাট এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নকেই দেশ গঠনের প্রধানতম চালিকা হিসেবে গ্রহণ করেছি। ফলে ব্রিজ তৈরি হয়েছে কিন্তু যাদের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ব্রিজটা তৈরি হতো পারত সেই মানুষ তৈরি হয়নি। ইট-সিমেন্ট-রডের বদলে মাটি ও বাঁশ দিয়ে ব্রিজ তৈরির খবরও তাই আমাদের পড়তে হয়।
শিশুদের সুন্দর শৈশব উপহার দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কারও কি কোনো আপত্তি আছে? আমার ধারণা, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দল অন্তত এই একটা জায়গাতে একমত হবেন যে, শিশুদের মানসিক শারীরিক বিকাশে সুন্দর শৈশব অপরিহার্য। তারা এটাও মানবেন যে, মানবিকতার বিকাশে শিশুর সাংস্কৃতিক বিকাশও জরুরি। তাহলে সমস্যা কোথায়? শাসন ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের বাধাটা কোথায়?
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শিশুর মানসিক বিকাশে যা যা করণীয় তার অধিকাংশ আমাদের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ছিল। নব্বই দশক পর্যন্তও আমরা তার কিছু দৃষ্টান্ত পাবো। মূল সমস্যাটা শুরু হয়েছে এর পরেই। কয়েক বছর আগে এডুকেশন ওয়াচের এক প্রতিবেদনে পড়েছিলাম, ৪৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা হয় না। লাইব্রেরি নেই ৮৮ শতাংশ বিদ্যালয়ে, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় না ৪১ শতাংশ এবং স্কাউটিং হয় না ৭০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিশুর মানসিক বিকাশে যা যা করণীয় তার অধিকাংশ আমাদের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ছিল। নব্বই দশক পর্যন্তও আমরা তার কিছু দৃষ্টান্ত পাবো। মূল সমস্যাটা শুরু হয়েছে এর পরেই।
আরও জানা যাচ্ছে, নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত দেশের ৬২ শতাংশ শিশু, নেশার দিকে ঝুঁকছে ৬৮ শতাংশ তরুণ। পাঁচ বছরে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। অথচ এর বিপরীতে তেমন কার্যকরী রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি। রাষ্ট্র যেটা করেছে বছরে বছরে শিশুশিক্ষা নিয়ে নিরীক্ষা। এটা অপ্রয়োজনীয় না, কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা অপরিকল্পিত।
শিশুদের গিনিপিগ বানিয়ে ফয়দা লুটেছে কর্তৃপক্ষ। আপনি সবখানে ভেজাল মেশাতে পারেন, কিন্তু যে ঘরে থাকবেন সেখানে কম্প্রোমাইজ করলে সামান্য ভূমিকম্পে বাড়িটা আপনার মাথার ওপরেই ভেঙে পড়বে। তাই নিজের সন্তানকে যদি ভেজাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন, আপনার সব আয়োজন ব্যর্থ হতে বাধ্য। হয়েছেও সেটা। তাই সম্পূর্ণ দায় আমাদের।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা—এখানে সৃজনশীলতা চর্চা ও বিকাশের সুযোগ নেই। বরঞ্চ শিশুর সহজাত প্রতিভা নষ্ট করার সব রকম বন্দোবস্ত আছে। যে শিক্ষা বিনোদনমূলক নয়, যে শিক্ষার মধ্যে জ্ঞান (মুখস্থবিদ্যা অর্থে) থাকে বটে কিন্তু প্রজ্ঞা (চেতন অর্থে) থাকে না, সেটা কোনো মানবিক শিক্ষা না। কেবল ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষা জাতি গঠনে বা জাতির মনন গঠনে কাজ করবে, এমনটা প্রত্যাশা করা ভুল।
তবেও এটাও বলতে হয়, শিক্ষা একক ওষুধ না। মূল্যবোধের চর্চাটাও এক্ষেত্রে জরুরি। নীতি-নৈতিকতা বা মানবিক মূল্যবোধের বেশির ভাগ তৈরি হয় ঘর থেকে। আমাদের দেশের পরিবারগুলো এখন খুবই সংকটের মধ্যে আছে। বাবা হয়তো ঢাকায় চাকরি করে বা রিকশা চালায়, বিদেশে কাজ করে, মাও হয়তো কর্মজীবী, সন্তান স্কুলে পড়ছে, নিজের মতো করে বেড়ে উঠছে।
গ্রামাঞ্চলে শিক্ষিত পরিবারগুলো সন্তানদের ছোট থাকতেই শহরের স্কুলে পড়ার জন্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে শহরে ধনী ঘরের সন্তানরা কোচিং-গাইডবুক মুখস্থ নিয়েই ব্যস্ত। ফলে শিশুর মানবিক বোধ তৈরিতে পরিবারের কোনো ভূমিকা থাকছে না। তার ওপর আমরা বড়রা নানাভাবে দুর্নীতিপরায়ণ, নীতিহীন।
আমরা আমাদের বিশ্বাস ও জীবনযাপনের প্রতি সৎ না। আমাদের সব কিছুর মূলে আছে অসততা, অন্যায় প্রবণতা। ভুলে গেলে চলবে না, শিশুরা অত্যন্ত অনুকরণপ্রিয়। পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে মানবিক আচরণ না পেলে, তারাও সমাজের প্রতি মানবিক আচরণ দেখাবে না।
বেশি দিন আগে না, একাত্তরেও শুনেছি দেশের মানুষ এক জেলা থেকে কয়েক জেলা পাড়ি দিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে গেছে, পথে কোথায় থাকবে, কী খাবে ভাবেনি। যখন যে গ্রামে রাত হয়েছে সে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও আশ্রয় নিয়ে ভাবতে হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদেরও। আর আজ আগুনে পুড়ে গেলেও একটি শিশুকে কেউ তুলতে চায় না, দোকানদার পানির দাম দ্বিগুণ করে দেয়। বিপদগ্রস্ত লোক দেখলে কথিত শিক্ষিতরা মোবাইল বের ভিডিও করে।
শিশু সামিউল রাজনের কথা মনে আছে? একটা লোক এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে মারছে, মারতে মারতে মেরেই ফেলল, লোকজন কেউ বাধা দিলো না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিলো। যে পেটালো তার কারণে না, আমি আতঙ্কিত এটা ভেবে অন্য মানুষও মৌনভাবে অংশ নিচ্ছে। এটা একটা সাংঘাতিক আতঙ্কের বিষয়। তাই সব সময় বলি, মানুষ মূলে নষ্ট হয়ে গেলে সমাজের সব সম্ভাবনারই অপমৃত্যু ঘটে। মানুষের এই মূলটাই হলো তার প্রজন্ম।
এক্ষেত্রে প্রজন্ম নষ্ট করার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্র। পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতো, দেয়াল পত্রিকা হতো, হলগুলোয় নাটক হতো, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছিল নিত্য ঘটনা। কিন্তু কয়েক দশকে অপরাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্র নষ্ট করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছে হলগুলোর মধ্যে। ক্যাম্পাস রাজনীতি ষাটের দশকে একটি দেশ উপহার দিয়েছে, সেই রাজনীতিই আজ একটা দেশ নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতিকে বিমানবিক করে তুললে যা হয়, তারই দৃষ্টান্ত এটা।
তরুণদের বিপথগামী হওয়ার আর একটা কারণ হলো, ছাত্রদের সামনে রোল মডেল বা মানবিক আদর্শ না থাকা। একটা সময় রোল মডেল হওয়ার জন্য রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, আবুল হাশিম, মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, মোজাফফর আহমদ, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, চিত্তরঞ্জন দাস, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনি সিংহ প্রমুখ নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মোতাহের হোসেন চৌধুরী, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, এস ওয়াজেদ আলী, ইব্রাহীম খাঁ, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, আবুল ফজল, রণেশ দাশগুপ্ত, সত্যেন সেন, সরদার জয়েনউদ্দীন, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, শহীদুল্লাহ কায়সার, মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, খান সারওয়ার মুরশিদ, আনোয়ার পাশা, মুনীর চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, আলতাফ মাহমুদ, রমণীকান্ত নন্দী, কাজী মোতাহার হোসেন, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সরদার ফজলুল করিম, নূরজাহান বেগম, মুহম্মদ কুদরত-এ-খুদা, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জাহানারা ইমাম, জয়নুল আবেদিন, সিকান্দার আবু জাফর, ইলা মিত্রের মতো শতাধিক অধ্যাপক-লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী ও সংগঠক। কিন্তু বর্তমানে আমরা আমাদের মাথার ওপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সত্যভাষী অভিভাবক পাই না। এই অপ্রাপ্তিটাও আমাদের শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে প্রধান অন্তরায়।
...আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্র। পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হতো, দেয়াল পত্রিকা হতো, হলগুলোয় নাটক হতো, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছিল নিত্য ঘটনা।
আরেকটা কারণ হলো, শিক্ষার্থীদের সামনে কোনো আদর্শিক চেতনা ও আন্দোলন না থাকা। আমরা দেখেছি ’৫২ এবং ’৭১-এ এদেশের তরুণ সমাজ একটা আদর্শিক প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে রাজনীতির মাঠে বা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে যে শিক্ষার্থী রাজনীতি করে তার সঙ্গে সমাজ বদলের কোনো আদর্শ জড়িয়ে নেই। এই রাজনীতি জবর-দখলের, মিথ্যাচারের। রাজনৈতিক ব্লেম গেমও দায়ী।
আমরা দেখি একটি ঘটনা ঘটেছে, সাথে সাথে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক তারা একটা ব্লেম গেমের মধ্যে চলে যায়। এই দোষারোপের সংস্কৃতি আমাদের ক্ষতি করছে। আমরা কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছি না। রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেটি তরুণদের নানাভাবে আক্রান্ত করছে।
আরেকটি কারণ হলো ভায়োলেন্স। বাচ্চারা প্রতিদিন সংবাদের কাগজে কিংবা টেলিভিশনে ভায়োলেন্সের খবর পড়ছে। লাইভ দেখছে ফেসবুকে ইউটিউবে। আইপড-মোবাইলে খেলছে ভায়োলেন্স নির্ভর গেমস। যত মানুষ মারা যাবে তত পয়েন্টস। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত তরুণদের মধ্যে আর কীইবা প্রত্যাশা ছিল? পয়েন্টস। সৃষ্টিকর্তার খাতায়, এই তো? ভুল শিক্ষার চরম দৃষ্টান্ত হতে পারে এটা।
আমাদের সামগ্রিক হতাশাবাদে তাই দলীয় রাজনীতি ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামোর দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এত বছরে কেন সুস্থ রাজনীতির ধারা তৈরি হলো না? কেন কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো গেল না? উত্তর যেটাই হোক, বাস্তবতা হলো, মানব সম্পদে আমরা এত বছরে ইতিবাচক কোনো অগ্রগতি পাইনি, কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি, উল্টো আগে যা ছিল তাও নষ্ট হয়েছে। পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকের তুলনায় দেশটা মানব সম্পদে শতগুণ পিছিয়েছে। কারণ একটাই, নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে না পারা।
আমাদের এখন কাজ করতে হবে, অনেক কাজ, কিন্তু তার আগে জরুরি, সমস্যাটাকে অ্যাড্রেস করা—রাজনৈতিকভাবে যেমন, সামাজিকভাবেও তেমন। যে সমাজ রাজনীতির কারণে নষ্ট হয়, সে সমাজ রাজনীতি দিয়েই গড়তে হবে। এই রাজনীতি মূল্যবোধের রাজনীতি, ত্যাগ ও বিসর্জনের রাজনীতি, সহিষ্ণুতা ও বহুত্ববাদের রাজনীতি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: